
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 239 বার পঠিত
দেশে থার্ড পার্টি মোটর বীমা পুনরায় বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিআইএ’র পক্ষ থেকে আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে এই চিঠি পাঠান তিনি। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৬০৮ জন আহত হয়েছেন। আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও সাউথ সুদান ব্যতিত পৃথিবীর সকল দেশেই মোটর বীমা বাধ্যতামূলক রয়েছে। যে সকল দেশে কম্প্রিহেন্সিভ মোটর বীমা বাধ্যতামূলক নেই, সে সব দেশে ন্যূনতম থার্ড পার্টি মোটর বীমা বাধ্যতামূলক রয়েছে। বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা কার্যক্রম শুরুর দিন হতে বিগত ২০১৮ সাল পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের সুরক্ষায় থার্ড পার্টি মোটর বীমা চালু ছিল। মোটর যানের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় কবলিত তৃতীয় পক্ষের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান একটি মৌলিক নাগরিক অধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তার অংশ, যা পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের সরকার বীমা কোম্পানির থার্ড পার্টি মোটর বীমার মাধ্যমে নিশ্চিত করে থাকে। এমতাবস্থায়, তৃতীয় পক্ষের সুরক্ষায় দুর্ঘটনা পরবর্তী আর্থিক ঝুঁকি লাঘবের নিমিত্তে থার্ড পার্টি মোটর বীমা পুনরায় বাধ্যতামূলক করা অত্যাবশ্যকীয়।
আরও পড়ুন:
সুকুক বন্ডে বাধ্যতামূলক বিনিয়োগ করতে হবে ইসলামী বীমা কোম্পানিগুলোকে
বীমা কোম্পানির পর্ষদ সভায় সশরীরে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক
এ ছাড়াও উল্লেখ্য, থার্ড পার্টি মোটর বীমার বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেয়ার পর হতে কম্প্রিহেনসিভ মোটর বীমা করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। উল্লিখিত বিষয়টি বাস্তবায়নকল্পে, সেন্ট্রাল রেটিং কমিটির মাধ্যমে থার্ড পার্টি মোটর বীমাপণ্যটি যুগোপযোগী ভাবে প্রস্তুত করতে এবং এর দাবি পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজীকরণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে থার্ড পার্টি মোটর বীমা পুনরায় বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশে বীমা বাধ্যতামূলক ছিল। বীমা ছাড়া গাড়ি সড়কে চালালে জরিমানা দিতে হতো। ফার্স্ট পার্টি বীমা করলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির জন্য ক্ষতিপূরণ পেতেন মালিক। বাধ্যতামূলক ছিল থার্ড পার্টি নামে পরিচিত তৃতীয় পক্ষের বীমা। এ বীমার আওতায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী, পথচারীর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিল। এই বীমার প্রিমিয়ামও (কিস্তি) ছিল সামান্য। বাসের জন্য বছরে দেড় হাজার টাকা এবং মোটরসাইকেলে ২২০ টাকা দিতে হতো। অন্যান্য যানবাহনে প্রিমিয়ামের পরিমাণ ছিল ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকা।
থার্ড পার্টি বীমা তুলে দিয়ে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৫৩ ধারা অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠন করা হয়। তহবিল পরিচালনায় ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে আইনের ৫৪ ধারা অনুযায়ী। দুর্ঘটনায় হতাহতদের পক্ষে আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।
Posted ৯:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy